সৈয়দা লুলু মিনহাজ জাইদির বাড়ি ভারতের হায়দরাবাদে। সেখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে যাওয়ার পর সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছুদিন আগে শিকাগোর একটি রাস্তায় অভুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে।
এমন দৃশ্যের ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। ভিডিওটি চোখে পড়ার পর লুলু মিনহাজকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর মা। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার এক কোণে এক নারী বসে আছেন। আশপাশে আরও কয়েকজন বসা।
জিজ্ঞেস করলে প্রথমে নিজের নাম মনে করতে পারেননি। একপর্যায়ে তাঁর এ অবস্থা কেন জানতে চাইলে বলেন, চিকিৎসা নিতে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁর শরীর থেকে রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের বাড়ি তেলেঙ্গানার মওলা আলী এলাকায়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়টের ট্রিনি ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর করতে যান সৈয়দা লুলু মিনহাজ জাইদি। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি হায়দরাবাদের দুজন তরুণের মাধ্যমে জানতে পারি, সে বিষণ্নতায় ভুগছে। তাঁর সবকিছু চুরি হয়ে যাওয়ায় তাঁকে না খেয়েও থাকতে হয়েছে। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের শিকোগোর একটি রাস্তায় দেখা গেছে।’
এরপরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে তাঁকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছেন লুলু মিনহাজের মা সৈয়দা ওয়াহাজ ফাতিমা। সহযোগিতা চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
আমজাদ উল্লাহ খানের পোস্টে সাড়া দিয়েছে শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেটর জেনারেল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।